কিডো গল্পের আসর -১ (পেপারব্যাক)

৬-৯ বছরের শিশুদের মানসিক বিকাশের জন্য কিডো নিয়ে এলো গল্পের সিরিজ! ৫টি মজার মজার এবং শিক্ষণীয় গল্পে সাজানো এই ৫টি বই থেকে আমাদের শিশুরা শিখবে বিভিন্ন সোশ্যাল স্কিল! যে স্কিল গুলোকে কাজে লাগিয়ে শিশুরা সমাজে একজন ভালো মানুষ হতে পারবে, সামাজিক নানান অসঙ্গতি থেকে তাদের মনকে পরিষ্কার রাখবে, সর্বোপরি তারা হবে ভালো মানুষ গড়ার কারিগর।
এই সিরিজের বইগুলো হলো:
১) গোয়েন্দা ভালুকের তেলেসমাতি-  মিথ্যা মানেই বিপদ! মিথ্যা হতে পারে ছোট, কিন্তু সেই মিথ্যার বিপদ হবে অনেক বড়। এই যেমন মিস্টার সিম্পুর কথাই ধরো। ওহ সরি, সরি! সিম্পু সাহেবকে চেনার আগে “গোয়েন্দা ভালুকের তেলেসমাতি” বইটা একশ্বাসে পড়ে ফেলো। ওখানে হয় কি জানো? একটা জাদুঘরে চুরির খবর পেয়ে গোয়েন্দা ভালুক যায় খবর নিতে। সেখানে গিয়ে একটু একটু করে খোঁজ নিয়ে জানো কী পায় সে? চুরির খবরটা দিয়েছে জাদুঘরের যেই ম্যানেজার, সেই ম্যানেজারই হচ্ছে আসল চোর! ভুল করে একটা জিনিস ভেঙে ফেলেছিল বলে নিজেকে বাঁচানোর জন্য মিথ্যা বলে সে। সেই মিথ্যা তাকেই শেষমেশ চোর বানিয়ে দেয়! 
২) রাজদরবারে বুদ্ধিমান শেয়াল- শেয়াল পণ্ডিতের কথা তো তোমরা জানোই সবাই। বরাবরই সে বুদ্ধিমান আর চালাক। তো আমাদের এই “রাজদরবারে বুদ্ধিমান শেয়াল” গল্পে সে করে বইয়ের ব্যবসা। বেচারা গরীব, কিন্তু ওই যে…বুদ্ধিমান। একবার বনের সবার উপর ক্ষেপে গিয়ে সমুদ্র ভাবলো সে আর বনের প্রাণীদের ছাড়বে না এবার! সবাই ময়লা ফেলে তাকে একেবারে নোংরা করে দিয়েছে। এর শাস্তি হিসেবে দেবে এবার সে সবাইকে ডুবিয়ে! তারপর কী হলো? দারুণ এক বুদ্ধিতে সমুদ্রের এই বিপদ থেকে শেয়াল বাঁচালো সবাইকে। সেই বুদ্ধির গল্পটা জানতে পড়তে হবে বইটি। 
৩) হাতি ও ব্যাঙের দোকাবাস- মানুষ বৈচিত্র্যময় সৃষ্টি। একেকজনের একেক স্পেশালিটি। সবাই আলাদা আলাদা, এটাই সৌন্দর্য। “হাতি ও ব্যাঙের দোকাবাস” গল্পটা পড়লে এই ব্যাপারটা তোমরা দারুণভাবে বুঝতে পারবে শিশুরা। হাতি বেশি খায় আর ব্যাঙ জোরে জোরে ডাকে। এই কারণে বনের সবাই ওদেরকে আলাদা করে দিয়েছিল। কিন্তু বিপদের সময় ওরাই এগিয়ে আসে, সবাইকে ভয়ঙ্কর বিপদ থেকে বাঁচিয়ে আনে। তখন সবাই ভুল বুঝতে পারে।
৪)  আহরণ- পুরো বই জুড়ে পিঁপড়ে আমাদের ওস্তাদ হয়ে দারুণ কয়েকটা জিনিস আমাদের শিখিয়ে দেবে। ওদের থেকে আমরা শিখবো কীভাবে সবাই দলবেঁধে কাজ করতে হয়। শিখবো কীভাবে নেতা হয়ে সবাইকে নিয়ে একসাথে কাজ করা যায়। কীভাবে দলের সবাইকে ভালো রাখা যায়, এটাও আমরা শিখবো। আরো শিখবো কীভাবে বড় একটা কাজকে ছোট ছোট ভাগে ভাগ করা যায়। 
৫) চার বন্ধু-   চার বন্ধু নামের এই গল্প খুব সুন্দর একটা জিনিস শেখায় আমাদের। সেটা হলো কখনোই মানুষের কথায় মন খারাপ করে বসে থাকা যাবে না। নিজের কাজ ভালোমতো করলে একটাসময় ঠিকই সবাই তাদের ভুল বুঝতে পারবে। ভালো কোনো কাজে সাহস হারালে চলবে না। আর সবসময় কাজ করতে হবে একে অন্যের সাথে, এক হয়ে, মিলেমিশে।